শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
ধুনটে কৃষক দলের কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা নড়াইলে যুবকের মরদেহ উদ্ধার নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যান সহ গ্রেপ্তার ৪ ধুনটে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ ফুলবাড়ীতে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রশিদপুর গ্রামবাসীর মানববন্ধন নড়াইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত-১ চলমান মামলা সত্বেও মাছ লুট- সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নড়াইলে ডিবির অভিযান গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-১ ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বকনা গরু বিতরণ রংপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার দাবি পীরগাছায় প্রভাব বিস্তার করে মসজিদে তালা বিআরটিএ বাড়তি টাকা আদায়ের সত্যতা পেয়েছে দুদক রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ কেরানী থেকে রাতারাতি প্রধান শিক্ষক, অবশেষে সাময়িক বরখাস্থ রংপুরে হামলার শিকার ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন জলঢাকায় হাট ইজারা থেকে রাজস্ব আয় দুই কোটি ৫০ লাখের বেশি আদালতের আদেশ অমান্য করে ভুট্টা ছিড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ নড়াইলে সেনা-পুলিশের অভিযানে অস্ত্র সহ আটক ৩ ফুলবাড়ীতে জমিজমার বিরোধে কলাবাগান কাটলেন প্রতিপক্ষরা দ্রুত নির্বাচন না দিলে ফ্যাসিস্ট মাথা চাড়া দিবে

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ডায়রিয়া রোগীর ভীড় ঔষধ সংকট সদর হাসপাতালে

আবীর আকাশ- লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ বন্যার কবলে লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলার বাসিন্দারা।বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত থাকায় পানিবন্দি বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। আশ্রয়কেন্দ্রসহ হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে রোগীর চাপ। শয্যা সংকটে মেঝেতে নিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে কলেরা স্যালাইন, সিরাপ সালবিউটামল, হিসটাসিন ও ডায়রিয়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।বাধ্য হয়ে বাহির থেকে স্যালাইনসহ ঔষধ কিনতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের এসব রোগীদের।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই।

এক একটি বেডে গাদাগাদি করে দুই- তিন জন করে ভর্তি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেক রোগীই বেডে জায়গা না পাওয়ায় মেঝেতেই বিছানা পেতে সারিবদ্ধ ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নার্স সংকটে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভীড় ঠেলে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ব্রাদার নোমান হোসেন বলেন, ১০ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তিই আছে ১২৮ জন রোগী। এক-দুজন নার্স দিয়ে এতোগুলো রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা খুবই কষ্টকর। একজনের স্যালাইন লাগাতে গেলে- দশ জন ডাকে ওষুধ দিতে। তার ওপর স্যালাইন ও ডায়রিয়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের সংকট রয়েছে। আপাতত রোগীর স্বজনরা বাহির থেকে এসব কিনে আনলে তা দিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে নিচ্ছি।

দুই দিন ধরে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে একই বেড ভাগ করে আরো দুই রোগীর সঙ্গে ৭ মাসের শিশু মিরাজকে নিয়ে ভর্তি আছেন মান্দারি ইউনিয়নের বাসিন্দা তাসলিমা আক্তার। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, গত ১০ দিন ধরে বাড়িতে কোমর সমান পানিতে বন্দি আছি। টয়লেট ও ডোবার নোংরা ময়লা বন্যার পানিতে মিশে একাকার। এখন আমার ৭ মাসের ছেলের জ্বর আর ডায়রিয়ায় খুব খারাপ অবস্থা। সরকারি হাসপাতেল এসে আরো অস্বস্তিতে পড়েছি। গুদাম ঘরের মত পরিস্থিতি এখানে। চর লরেন্স থেকে আসা সামছুন নাহার, সদরের চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে আসা ইমনসহ কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, জায়গাই পাচ্ছেন না তারা। তবুও চলাচলের স্থানে বিছানা পেতে আছে, ময়লা দূর্গন্ধ আর রোগীর ভীড়ে খুই খারাপ অবস্থা। চিকিৎসা সেবা নেই বলেই চলে।

ডায়রিয়া বিভাগের ইনচার্জ লিলু রানী দাস সাংবাদিক অ আ আবীর আকাশকে বুধবার দুপুরে জানান, গত তিন দিনে ৩ শতাধিক রোগী ডায়রিয়া ও জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীরা সবাই বন্যাক্রান্ত এলাকার। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিলো ৮০ জন আজকে বেলা একটা পর্যন্ত নতুন রোগী ৪৮ জন ভর্তি হয়ে মোট ১২৮ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেও পরবর্তী ৩ দিনে গণহারে ডায়রিয়া, জ্বর নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছে। লিলু আরও জানান, ১০ জনের বেড তো খালি নেই। এমনকি মেঝেতেও হাঁটার জায়গা নেই। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এছাড়া হাসপাতালে, কলেরা স্যালাইন, সিরাপ সালবিটামল, হিসটাসিন ও ডায়রিয়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের তীব্র সংকট।যা ছিলো, সব রোগিদের সমহারে বন্টন হচ্ছে। রোগীরা এখন বাহির থেকে ঔষধ কিনছে। উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে জেলার ৫টি উপজেলার বন্যাক্রান্ত ৪’শ আশ্রয়ন কেন্দ্রে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ পানিবাহিত রোগ।ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মেডিকেল টিমের কর্মীরা চিকিৎসা দিলেও তাতে নিয়ন্ত্রণ করা যাচেন না। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দাসহ স্থানীয়রা।

লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আহমদ কবির জানান, বন্যার কারণে ডায়রিয়াসহ চারদিকে পানি বাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে শুরু থেকে আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় ৬৪টি মেডিকেল টিমের সদস্যরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়ায় কলেরার স্যালাইনসহ ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আজকে স্যালাইন এসেছে এবং রোগীদের মাঝে সরবরাহ করাও হচ্ছে। তবে অন্যান্য ঔষধ সরবরাহ করা হলে সংকট নিরসন করা হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com